দৈনন্দিন কর্মকান্ডে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে আমরা প্রায়ই ঝুঁকির সম্মুখীন হই। কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আঘাতের সম্ভাবনা থাকে। আর আঘাত প্রাপ্তির ঘটনা যে কোন সময় যে কোন অবস্থাতেই ঘটতে পারে এবং একে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে না পারলেও যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কমিয়ে আনা যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে বেশীরভাগ দূর্ঘটনারই কারণ হচ্ছে অজ্ঞতা, অবহেলা এবং অসতর্কতা। ছোট বড় সকল আঘাতকেই সমান গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে কারণ আজকের ছোট সমস্যা ভবিষ্যতে বড় সমস্যার আকার ধারণ করতে পারে। যেকোন কর্মকাণ্ডে একজন ব্যক্তির নিরাপত্তার (Safety) ব্যাপারে যেমন সবাই সতর্ক দৃষ্টি দিয়ে থাকে। তেমনিভাবে কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের ব্যাপারে সরকার কর্তৃক সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ রয়েছে।
নিম্নলিখিত নিরাপত্তা বিধি ঠিক থাকলে অনেকাংশে দূর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।
১. অগ্নি নিরাপত্তা (Fire Safety );
২. ভূমিকম্প নিরাপত্তা (Earthquake Safety);
৩. বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা (Electrical Safety);
৪. ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত নিরাপত্তা (Personal / Collective Safety );
৫. মেশিন চালনার নিরাপত্তা (Mechanical Safety );
৬. পরিবেশগত নিরাপত্তা (Environmental Safety);
নিরাপত্তায় প্রয়োজনীও কিছু সরঞ্জাম বা পিপিই নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করবো ।
সুরক্ষা জুতাঃ পা কে সুরক্ষিত রাখার জন্য ব্যবহৃত আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ আচ্ছাদনই হলো সুরক্ষা জুতা।
বিভিন্ন প্রকার সুরক্ষা জুতা রয়েছে। যেমনঃ
১। অ্যান্টি স্ট্যাটিক জুতা এবং অপরিবাহী জুতা ।
২। অন্তরোধ জুতা (বুট)।
৩। অ্যাসিড প্রুফ জুভা ।
৪। মরিচা প্রতিরোধী জুতা।
৫। অয়েল প্রুফ জুতা।
গগলসঃ চোখকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করতে গগলস ব্যবহৃত হয়।
হ্যান্ড গ্লোভসঃ হাতকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করতে হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহৃত হয়।
এ্যাপ্রোনঃ শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করতে এপ্রোন ব্যবহার করা হয়।
মাস্কঃ ধুলা-বালি ও বিভিন্ন ক্ষতিকারক জীবাণু রোধে মাস্ক ব্যবহৃত হয় ।
আরও দেখুন...